‘ইত্যাদি’তে অনুষ্ঠানে যেমন থাকে হাস্যরস, তেমনি থাকে গভীর বার্তা। দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য, কুসংস্কার বা পরিবেশ দূষণের মতো বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেন এমনভাবে, যা দর্শককে আনন্দ দেয়, আবার ভাবতেও শেখায়। তার এক জনপ্রিয় উক্তি— ‘মানুষকে শেখানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তাকে হাসানো। হাসির মধ্য দিয়েই মন খোলা যায়।’ এই এক লাইনেই যেন তার দর্শন। হানিফ সংকেতের পরিমিত, স্পষ্ট ও শালীন উপস্থাপন ভঙ্গি তাকে আলাদা করেছে সবার কাছ থেকে। তিনি কখনো উত্তেজনায় ভেসে যান না, কখনো নিজেকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনেন না। তার প্রতিটি সংলাপ, প্রতিটি কৌতুক, প্রতিটি নোট—পরিকল্পিত, অর্থবহ এবং দায়িত্বশীল। ‘ইত্যাদি’তে দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, লোকসংগীত ও সাধারণ মানুষের প্রতিভা তুলে ধরার যে ধারাবাহিকতা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশে অনন্য উদাহরণ। তিনি প্রমাণ করেছেন—বিনোদন হতে পারে শিক্ষার মাধ্যম, আর জনপ্রিয়তাও হতে পারে দায়িত্ববোধের...