১৯২১ সাল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় বছর। কানাডার দুই তরুণ বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ব্যান্টিং ও চার্লস বেস্ট এমন এক আবিষ্কার করলেন, যা পরবর্তী সময়ে অগণিত মানুষের জীবন বাঁচাবে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের ধারা বদলে দেবে। সে আবিষ্কারটির নাম—ইনসুলিন।এর আগে টাইপ-১ ডায়াবেটিস মানেই প্রায় নিশ্চিত মৃত্যু। রোগ নির্ণয়ের পর রোগীরা হয়তো কয়েক মাসের বেশি বাঁচতেন না। চিকিৎসার নাম করে দেওয়া হতো কঠোর উপোসের নিয়ম, যা শুধু সামান্য সময়ের জন্য জীবন বাড়াত কিন্তু সুস্থতা ফেরাতে পারত না। ডায়াবেটিসের কারণে অকালমৃত্যু তখন ছিল এক ভয়াবহ বাস্তবতা। কিন্তু ইনসুলিন আবিষ্কার সেই বাস্তবতা পাল্টে দিল। রোগীরা প্রথমবারের মতো নতুন করে বাঁচার আশা পেলেন। ডায়াবেটিস আর মৃত্যুদণ্ড নয়, এটি হলো এক দীর্ঘস্থায়ী কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ।ইনসুলিন আবিষ্কারের পরই আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো দ্রুত শিল্প পর্যায়ে উৎপাদন শুরু করল। অল্প সময়ের মধ্যেই...