তামাক ব্যবহারের প্রভাব বহুমাত্রিক। স্বাস্থ্যগতভাবে এটি ফুসফুস ও শ্বাসনালির রোগ, হৃদরোগ এবং বিভিন্ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব গভীর—ঘুমের মান নষ্ট হয়, মনোযোগ কমে এবং শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হয়। দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যা সমাজ ও অর্থনীতিতেও আঘাত হানে। শিশুদের অসুস্থতা ও চিকিৎসা ব্যয় বাড়ায়, ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা কমে যায়, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর।এ বাস্তবতায় এখনই প্রয়োজন কার্যকর নীতি ও কঠোর প্রয়োগ। প্রথমত, স্কুল প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে ১০০ গজের মধ্যে তামাক বিক্রি ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কিশোরদের জন্য নিয়মিত সচেতনতা ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি—যেমন অ্যাসেমব্লিতে তামাকের ক্ষতি নিয়ে আলোচনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ, এবং ধূমপানবিরোধী ক্লাব গঠন। তৃতীয়ত, শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ধূমপান না করা, যাতে তারা শিক্ষার্থীদের কাছে ইতিবাচক রোল মডেল...