বাংলা কবিতার আকাশে জীবনানন্দ দাশ এমন এক ধ্রুবতারা, যিনি সময়কে কেবল ঘড়ির কাঁটার পরিমাপ হিসেবে দেখেননি, বরং তাকে অনুভূতির গভীরে মিশিয়ে এক চিরন্তন নৈঃশব্দ্যের কারিগর হয়ে উঠেছিলেন। ১৮৯৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত তাঁর জীবনকাল ছিল আধুনিকতার জটিলতা ও বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে এক স্বতন্ত্র সময়চেতনার ফসল। তাঁর কাব্যলোকে ইতিহাস, প্রকৃতি, একাকিত্ব এবং প্রেম মিলেমিশে একাকার হয়ে সৃষ্টি করেছে অস্তিত্ববাদী এক মানচিত্র। জীবনানন্দের কবিতা তাই নিছক শব্দের খেলা নয়; এটি কালের বিশালতার মাঝে এক অতলান্ত চেতনার অন্তর্ভুক্ত ভুবন। জীবনানন্দের সময়চেতনা কেবল তারিখের প্রবাহ নয়, এটি স্মৃতির এক স্তরবিন্যাস এবং চেতনার অভ্যন্তরে সময়ের লয়কে ধারণ করে। রবীন্দ্রোত্তর যুগে তাঁর নিঃসঙ্গতা ও alienation-এর ধারণা পশ্চিমা সাহিত্যিকদের ভাবনার সঙ্গেও যুক্ত, যা তাঁকে আধুনিকতার সংজ্ঞাকে পাল্টে দেওয়া এক সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। তাঁর এই নিঃসঙ্গতা ব্যক্তিগত...