মানিকগঞ্জের কৃষকরা দ্রুত বাড়তি আয়ের আশায় এই গাছ লাগাচ্ছেন। ইউক্যালিপটাস দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই কয়েক বছরের মধ্যেই কাঠ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা হারাচ্ছেন উর্বর মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও ভবিষ্যতের ফসলের নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস লাগানোর পর তাঁদের জমিতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ একদিকে প্রচুর পানি শোষণ করে, অন্যদিকে আশপাশের মাটিকে করে তোলে রুক্ষ ও প্রাণহীন। এর পাতাও সহজে পচে না, ফলে মাটিতে জৈব সার তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই গাছের নিচে কোনো ঘাস বা অন্য গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিরাও বাসা বাঁধে না। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। সরকারও বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন,...