মল্লিকাদি’রূপী ফরিদা পারভীন যে আরেকটা পরিচয়ে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছেছেন সেটা আমরা আবিষ্কার করলাম ধীরে ধীরে। কৈশোরে এসে আমাদের কাছে উন্মোচিত হলো―বিস্ময়, গর্ব ও গৌরবের অন্য এক অধ্যায়। কুষ্টিয়াকে বলা হয় লালনের পুণ্যভূমি। কিন্তু সেই অর্থে তিনি সর্বজনে পরিচিত ছিলেন না। আদৃত হতেন না নাগরিক জীবনের কোথাও। লালনের গানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলা হতো ‘ফকির-ফাকরার গান’। শিষ্যরা পরিচিত ছিলেন আখড়ার ফকিররূপে। সমাজের ওপরতলার মানুষের চশমায় ওদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল গঞ্জিকাসেবনকারী, নেশাখোর-অভব্য বলে। শুধু কি তাই? এমন কথাও চাউর ছিল যে, ওখানে গেলে জাত খোয়াতে হয়। ধর্ম নাশ হয়। সমাজচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ ওটা নাকি অসামাজিক মানুষের সংঘ, আখড়া। ওরা নাস্তিক, বিধর্মী, বিপথে যাওয়া মানুষ। ওরা হঠকারী, সমাজ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এক কথায় সমাজের কর্তাবাবুরা যা কিছু মন্দ, যা কিছু অকল্যাণকর...