চার লাখ মানুষের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। অথচ সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। কাগজে কলমে পদসংখ্যা ১৭ হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এর মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের দেখা পান না। কেউ কেউ ওষুধ পান না। কেউবা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অবহেলা ও হেনস্তার শিকার হন। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াই কষ্টকর, কারণ হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, সামনে ময়লার ভাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে আলো-বাতাসের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি এখন ‘নামেই হাসপাতাল’-বাস্তবে রোগীর সেবা নেই, আছে শুধু অব্যবস্থাপনা। সরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। সেখানে যদি চিকিৎসা না পাওয়া যায়, তবে মানুষ কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে খরচ বহন করা সাধারণ...