
জন্মের মুহূর্ত থেকেই মানুষের চারপাশে এক অদৃশ্য শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়—“ভবিষ্যৎ”। শিশুটি এখনো কথা বলতে শেখেনি, অথচ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। কোন স্কুলে পড়বে, কোন ভাষা শিখবে, কোন পেশায় যাবে—সব কিছু যেন ঠিক হয়ে যায় জন্মের আগেই। তার জীবনের প্রথম কান্না থেকেই শুরু হয় এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা, যার নাম “আগামীকাল”। বাবা-মা ভাবে, সন্তান যেন “ভালো ভবিষ্যৎ” পায়; শিক্ষক শেখায় পরীক্ষায় ভালো করতে, যেন ভবিষ্যতে সফল হয়; সমাজ বলে, নিরাপদ পেশা নাও—ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। এভাবেই জীবনের প্রতিটি ধাপ ভবিষ্যতের নামে পরিকল্পিত হয়ে ওঠে, অথচ বর্তমান থাকে উপেক্ষিত, নিঃশব্দ ও অপূর্ণ। এই কেস স্টাডির কেন্দ্রীয় চরিত্রকে আমরা বলি প্লাবন—এক সাধারণ তরুণ, যার জীবন প্রতীক হয়ে ওঠে আধুনিক সমাজের ভবিষ্যৎ-নেশার। প্লাবনের জন্মের সময় বাবা বলেছিলেন, “ছেলেটাকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবো।” স্কুলে শিক্ষক বলেছিলেন,...