সন্তানের জন্মের পর বেশির ভাগ মা–বাবারই শারীরিক–মানসিক শক্তি ও সময় চলে যায় সন্তানের পেছনে। ফলে একে অপরের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। দুজন দুজনের প্রথম প্রাধান্যও থাকেন না। মা হওয়ার পর নারীর শরীরে হরমোনের প্রভাবে যে পোস্ট পার্টাম ব্লুজ হয়, সেসবের প্রভাবেও সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়। অনেক সময় একজন, বিশেষ করে মায়েরা, বেশি পরিমাণ অভিভাবকত্বের দায়িত্ব পালন করেন। এই ‘ডিফল্ট প্যারেন্টিং’য়ের ভারসাম্যহীনতা বিরক্তি ও অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে। মা যখন সন্তান সামলাতে সামলাতে নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ারই সময় পান না, তখন তিনি সংসারের অন্যান্য দায়িত্ব ও সঙ্গীর চাহিদার দিকে নজর দিতে পারেন না। আমাদের দেশে প্রায়ই নতুন মায়েদের এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সেই সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘাঁয়ের মতো যুক্ত হয় জীবনসঙ্গীর অসন্তোষ।...