বাংলাদেশে জমি বা সম্পত্তি হস্তান্তরের সবচেয়ে প্রচলিত উপায়গুলোর একটি হলো হেবা দলিল। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী কিংবা নিকট আত্মীয়দের নামে সম্পত্তি হেবা করে দেওয়ার প্রথা বহু পুরনো। কিন্তু আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দলিল যতটা সহজে করা যায়, ঠিক ততটাই সহজে তা বাতিলও হয়ে যেতে পারে—যদি শর্ত মানা না হয়। হেবা দলিল একবার রেজিস্ট্রি হয়ে গেলে ইচ্ছেমতো কেউ বাতিল করতে পারেন না। কোনো জেলা প্রশাসক, ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট বা সাব-রেজিস্ট্রারও এটি বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন না। কারণ সাব-রেজিস্ট্রারের কাজ কেবল দলিল নিবন্ধন করা, বাতিল করা নয়। তবে মালিক নিজেই চাইলে আদালতের মাধ্যমে দলিল বাতিল করতে পারেন। আদালতের রায় হলে সেটি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। বাংলাদেশের আইনে হেবা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে কেবল ১৪ শ্রেণির নিকট আত্মীয়কে—পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, স্বামী-স্ত্রী, দাদা-দাদী, নানা-নানী, নাতি-নাতনী এবং ভাই-বোন। এই তালিকার...