আমার মেজ চাচা তখন জ্বরে ভুগছেন। পড়ার জন্য বই চাইলেন। চাচাকে ‘তিমির প্রেম’ পড়তে দিলাম। বই পড়ে চাচা কাঁদলেন। বললেন, অসুখে এমনিতেই দুর্বল হয়ে আছি। এমন বই দিয়েছিস, কাতর হয়ে গেলাম। আমার কৈশোর পেরোনো সদ্য তরুণ মেজ চাচা পরিণত মানুষ। এক বই পড়ে দুজনই কাঁদছি। যার লেখা বই পড়ে কিশোর বয়সে বুকের ভেতর তীব্র আলোড়ন উঠেছে, সেই লেখকের নাম রকিব হাসান। বাংলা কিশোরসাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র রকিব হাসান। নক্ষত্র নিভে গেছে। লেখক রকিব হাসান পৃথিবীর স্পর্শ ছেড়ে অনন্তলোকে চলে গেছেন। যিনি আমাদের হাতে প্রথম রহস্যের বই তুলে দিয়েছিলেন, যিনি শিখিয়েছিলেন বন্ধুত্ব, সাহস আর সত্যের মানে; সেই মানুষ চলে গেলেন চিরবিদায় নিয়ে। ১৫ অক্টোবর বিকেলে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন ‘তিন গোয়েন্দা’র স্রষ্টা রকিব হাসান। তিনি দীর্ঘদিন...