চীনের গুয়াংঝুতে নেমেই চমক। তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। ইমিগ্রেশনের তরুণটির মুখে কোনো কথা নেই। কাগজ, মানে আমার পাসপোর্টই কথা বলছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পালা এল, দেখি যন্ত্র বাংলায় কথা বলছে। ‘আপনার ডান হাতের চার আঙুল চেপে ধরুন…’, ‘দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি এভাবে চেপে ধরুন।’ সামনের ট্যাবে ছবি দেখা যাচ্ছে আর বাংলায় নির্দেশনা শোনা গেল। যে দেশের পাসপোর্ট, সে দেশের ভাষায় এই যন্ত্র কথা বলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। বিষয়টা বেশ ভালো লাগল। হাইটেক দেশে এসেছি, এই বোধ দিয়ে শুরুটা হলো। বিমানবন্দরে দেখা গেল ষড়্ভুজাকৃতি ছোট ছোট বাক্স। সাদা রঙের, ভেতর থেকে নীল আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। এগুলো স্লিপিং পট। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি চার্জ করার ব্যবস্থা আছে। আর সঙ্গে শুয়ে থাকার সুবিধা। স্লিপিং পটে থাকা যায় ঘণ্টা হিসাবে। গুয়াংঝু বিমানবন্দরে ১৫টির মতো স্লিপিং পট আছে—ট্রিপ অ্যাডভাইজর এমনটাই...