ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক মর্গ থেকে আরেক মর্গে দৌড়াচ্ছেন এক অসহায় বাবা। প্রিয়তম স্বামীকে হারিয়ে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বৃদ্ধ এক মা। বডি ব্যাগে (মৃতদেহ বহনকারী নির্ধারিত ব্যাগ) রাখা একেকটি মৃতদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে আছে। কারও শরীরের দেহাবশেষ পড়ে আছে। চেনার উপায় নেই। অঙ্গার দেহের ওপর আছড়ে পড়ছিলেন স্বজনরা। সব মানবিক অনুভূতিকে স্তব্ধ করে দেওয়া সেই দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মী। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তারাও। স্বজনদের আর্তি-এমন মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? আমাদের স্বজনরা শুধু পরিবারের মুখে একমুঠো ভাতের জোগান দিতে কাজ করত। তবুও অঙ্গার হতে হলো কেন? রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মারা যান তারা। ১৬ বছর বয়সি মুন্নী আক্তার মুনার লাশ পুড়ে ছাই। হাসপাতাল মরচুয়ারির সামনে...