আহমদউল্লাহ স্বভাবে চিন্তক, গভীর ও বিশ্লেষণী না হলেও কোনো কোনো বিষয়ে তার মনে প্রশ্ন তৈরি হয়। নিজেই তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে। যেমন বাসের জন্য শংকর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকার সময় মনে হলো শংকর নামটির উৎস কী? শিবশংকরের জটা থেকে নাকি শংকরাচার্যের দর্শনদেউ নাকি বাঙালি শংকর জাতির শংকর থেকে। স্বভাবী চিন্তক এই চরিত্রটি গল্পের ভর ও প্রাণ। কিন্তু চিন্তা বা দর্শন তার চরিত্রের পরিমিতি গল্পের সীমা ছাড়িয়ে ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ হয়ে ওঠে না। অর্থাৎ সাহিত্য জ্ঞানের দানবিক ওজন বহনের বাহন নয়, বরং মানবিক ওজন প্রবাহের স্বতঃস্ফূর্ত ধারা যেখানে তার প্রাণবান বিকাশ ঘটে। অর্থাৎ ‘প্রাণের ধর্ম সুমিতি, আর্টের ধর্মও তাই। এই সুমিতিতেই প্রাণের স্বাস্থ্য ও আনন্দ, এই সুমিতিতেই আর্টের শ্রী ও সম্পূর্ণতা।’ আহমদউল্লাহর মনের জিজ্ঞাসাও ‘সুমিতি’ ছাড়িয়ে দর্শন শাস্ত্রে হারিয়ে যায় না। যদিও এই...