উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল এক ভয়ংকর ব্যাধি—টাইফয়েড জ্বর। বিশুদ্ধ পানির অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং জনসচেতনতার অভাবে মুহূর্তেই এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া টাইফয়েডের প্রতিষেধক উদ্ভাবন ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকেই শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছিলেন কিছু বিজ্ঞানী। তাদের প্রাণান্ত চেষ্টার ফলে ১২৯ বছর আগে জন্ম নেয় টাইফয়েড টিকা, যা আজ হয়ে উঠেছে সারাবিশ্বের জন্য আশীর্বাদ। টাইফয়েড জ্বর ‘সালমোনেলা টাইফি’ নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত দূষিত পানি বা খাদ্যের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, পেটব্যথা, এমনকি অন্ত্র ফেটে যাওয়া—এসব ছিল এই রোগের সাধারণ উপসর্গ। চিকিৎসা ব্যবস্থা তখনো দুর্বল, ফলে ইউরোপে এটি প্রায় মহামারির রূপ নেয়। ১৮৮০ সালে জার্মান চিকিৎসক কার্ল জোসেফ...