যুদ্ধ শেষ হয়েছে—অন্তত গাজাবাসীর তা-ই ধারণা। বিমানের চক্কর থেমেছে। কামানের গর্জন স্তব্ধ। রাত নামলেও গাজা ঘুমায়নি। যেন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষ উঠে আসছে। যেন মৃতদেহ হঠাৎ পুনর্জীবন পেয়েছে। তারা ফিরে এল। তারা প্রথমেই বুকে করে নিয়ে এল নিজের মাতৃভূমিকে; তারপর নিজের সামান্য বেঁচে যাওয়া টুকটাক জিনিসপত্র। বিশ্ব এমন দৃশ্য আগে দেখেনি। পুরুষেরা ঘরবাড়ির দোরগোড়ায় ধুলো ঝাড়ছে। নারীরা সাগরের পানি দিয়ে ভাঙা পাথর ধুচ্ছে। শিশুরা ধ্বংসস্তূপের ফাঁকে দৌড়াচ্ছে। কেউ হারানো বল খুঁজছে। কেউ খুঁজছে আগুন থেকে বেচে যাওয়া কোনো অদগ্ধ বই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেন মৃত্যু বদলে গেল জীবনে। ধ্বংস বদলে গেল সৃষ্টিতে। নিস্তব্ধতা বদলে গেল মানুষের কর্মমুখরতায়। মানবতার এমন পুনর্জন্ম পৃথিবী কমই দেখেছে। মনে হলো, গাজা যেন কবর থেকে উঠে ঘোষণা দিচ্ছে—‘আমি বেঁচে উঠেছি আবারও!’ ষাট হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ...