বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন এক অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতি বছর এসব দুর্যোগে বিপুল পরিমাণ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সহযোগী এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও, এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সাধারণ জনগণ। তাদের ভূমিকা প্রায়ই অলিখিত এবং উপেক্ষিত থেকে যায়। দুর্যোগের প্রথম শিকার এবং প্রথম সাড়া প্রদানকারী হওয়া সত্ত্বেও, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার কাঠামোতে তাদের শক্তি ও সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চক্রটিকে মূলত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়—দুর্যোগ-পূর্ববর্তী প্রস্তুতি, দুর্যোগকালীন সাড়া এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন। বিস্ময়করভাবে, এই প্রতিটি পর্বেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনার টেবিলে খুব কমই গুরুত্ব পায়।দুর্যোগ আঘাত হানার আগেই এর ঝুঁকি কমানো এবং প্রস্তুতি...