‘হিজল-ঝাউয়ের ডাল জ্বলছে সূর্যের আলোড়নে/ মেঘের পৃথিবী থেকে ছুটি পেয়ে বয়স্কা রূপসী/ আশ্বিন এসেছে নীলকণ্ঠের পালকে শাড়ি ঘষে...।’ জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতোই শরতের রূপ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ঘেঁষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পথ এখন যেন একেকটি ছবির ফ্রেম। ক্যাম্পাসজুড়ে যেন শরতের উৎসব চলছে। পাশেই কাশবন। বাতাসে দুলে ওঠা কাশফুলগুলো সূর্যের আলোয় আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বিকেলের দিকে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে জমে ওঠে ক্যাম্পাস। কেউ ছবি তোলেন, কেউ আড্ডায় মেতে ওঠেন, কেউ–বা হারিয়ে যান শুভ্র সৌন্দর্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্যুঞ্জয় রায় বলেন, ‘ক্লাসের চাপ আর শহরের ব্যস্ততা সব ভুলিয়ে দেয় কাশবনের এই দৃশ্য। সময় পেলে ছুটে আসি এখানে।’ বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ওমানা অ্যানজেলিন বলেন, ‘ছুটির দিনে আমরা প্রায়ই এখানে আসি। এখানে এলে মনে হয়, ইট-সিমেন্টের এই শহরের...