গণ-অভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের শেষ দিন। ৫ আগস্ট দুপুর বেলা। গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনকে ঘিরে ধরেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। চড়থাপ্পড়, কিলঘুসি মারছেন। কেউ কেউ আবার কলার ধরে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। একটু দূর থেকেই দৌড়ে এলেন পুলিশের এক কনস্টেবল। কাছে এসেই অন্য পুলিশের মাঝ দিয়ে ঢুকে হৃদয়ের পিঠে রাইফেল ঠেকিয়ে ট্রিগার চেপে দিলেন। গুলির বিকট শব্দ। কয়েক সেকেন্ডেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হৃদয়। ছটফট করে হাত-পা নাড়তে থাকেন। তাকে দাঁড়াতেও দেওয়া হয়নি। তার নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মাটিতে পড়ে থাকা হৃদয়ের দেহ থেকে স্রোতের বেগে রক্ত বের হতে থাকে। অল্প সময়ে রাস্তা লাল রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। পুলিশ হৃদয়ের নিথর দেহ পা দিয়ে ঠেলে দেখেন মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কি না। পরে ৪ জন পুলিশ সদস্য মিলে হৃদয়ের গুলিবিদ্ধ মরদেহ হাত-পা ধরে...