কোনো একটা বিশেষ স্থানে বা কাজে কেউ যখন নিজেকে ‘আনসেইফ’ মনে করে, তখনই তার ‘সেইফ এক্সিট’ প্রয়োজন হয়। সেইফ এক্সিটের সহজ বাংলা নিরাপদ প্রস্থান বা নিরাপদে সরে যাওয়া। তীর্যক ভাষায় বললে, কৌশলে সটকে পড়া। প্রশ্ন হলো, অন্তর্বর্তী সরকারের কী এমন হলো যে তাদের সেইফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থানের বিষয়টি সামনে এলো? সরকারের উপদেষ্টারা কি নিরাপত্তাহীনতার ভেতরে আছেন বা তারা কি এমন কিছু করেছেন যে এখন তাদের দায়মুক্তি প্রয়োজন বা দ্রুত এই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তারা চলে গেলেই বাঁচেন? ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি গঠিত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও সেইফ এক্সিটের প্রশ্নটি সামনে এসেছিল। ওই সরকারও নানাবিধ সংস্কারে হাত দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘সংস্কারপন্থী’ বলে একটি আলাদা অংশ তৈরি হয়েছিল—যেটি গড়ে তোলার পেছনে প্রধান ভূমিকা...