বাংলাদেশের উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলা প্রকৃতির দান। নদীর স্রোত আর চরাঞ্চলের সবুজ ঘাসে ভরপুর এক অনন্য জনপদ। এই জনপদের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মহিষ পালন। যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় চলে আসা এ পেশা শুধু ঐতিহ্য নয়, এখন তা হয়ে উঠেছে জীবিকা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বাবলম্বিতার প্রতীক। জানা গেছে, ভোলার অর্ধশতাধিক বিচ্ছিন্ন চরে প্রায় ২ শতাব্দী ধরে বাতান পদ্ধতিতে মহিষ পালন করে আসছেন চরবাসী। এসব বাতানে ২ শত থেকে শুরু করে ১ হাজার পর্যন্ত মহিষ পালন হয়-যা ঘরোয়া পরিবেশে একেবারেই অসম্ভব। অনুকূল আবহাওয়া ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ তৃণভূমি মহিষ পালনের জন্য তৈরি করেছে উপযুক্ত পরিবেশ। ফলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে মহিষ এখন শুধু ঐতিহ্য নয়, হয়ে উঠেছে এক লাভজনক কৃষিখাত। কালের বিবর্তনে এখন অনেকেই বাতানের পাশাপাশি বসতবাড়ির গোয়ালঘরেও মহিষ পালন শুরু করেছেন।...