‘জানো মা, হিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,পাত্র স্কুলমাস্টার। পাগলি মেয়েটা বলতে পারেনিবেকার ছেলেটাকে ভালোবাসে।’ রাত ১০টা। একটি ছোট্ট কফিশপের কোণে বসে আছে আয়ান ও নীলা (ছদ্মনাম)। কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলছে দুজনের মধ্যে। নীলা চেঁচিয়ে বলল, ‘তুমি শুধু বলো, এভাবে আর কতদিন চলবে? আমার মা–বাবা পাত্র ঠিক করেছেন। চাকরি করে, ভালো বেতন।’আয়ানের গলা শুকনা, চোখে ক্লান্তি। সে বলছিল, ‘আমি চেষ্টা করছি নীলা, কিন্তু চাকরি পাচ্ছি না।’ তিন বছর হলো দুজনের পরিচয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেট ক্লাবে প্রেম, হাত ধরাধরি করে কফি খাওয়া, একসঙ্গে চাকরি খোঁজার স্বপ্ন—সবই ছিল গল্পের মতো। কিন্তু গল্প থেমে গেল, যখন আয়ান একটার পর একটা ইন্টারভিউ দিয়ে ফিরে এল শূন্য হাতে। আয়ান স্নাতক শেষ করেছে দুই বছর আগে। যে রকম চাকরি চেয়েছিল, তেমনটা মেলেনি। এখন সে হারাতে বসেছে প্রিয় মানুষটাকেও...