রসিকতার ছলে প্রায়ই বলা হয়, পৃথিবীতে যদি কখনও ভয়াবহ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটে তবে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে তেলাপোকাই। ২০০৮ সালের পিক্সার চলচ্চিত্র ‘ওয়াল-ই’তে এই পৌরাণিক কাহিনীটিকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরেছিল। ওই সিনেমাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীতে একাকী আবর্জনা সংগ্রহকারী রোবট ‘ওয়াল-ই’র একমাত্র সঙ্গী হিসেবে দেখানো হয়েছিল এক তেলাপোকাকে, যেন সে-ই শেষ জীবিত প্রাণ। এমনকি বাংলা সাহিত্যেও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তার 'বিলাসী' উপন্যাসে বলেছেন, “অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।” কিন্তু এ দাবির পেছনে সত্যতা কতটা? মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী যেখানে পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরবর্তী বিকিরণে টিকে থাকতে পারবে না, সেখানে কি তেলাপোকা সত্যিই বেঁচে থাকতে পারবে? এ কাহিনীর একটি অংশ এমন গুজব থেকে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার পরও পোকামাকড় নাকি টিকে ছিল...