সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের `নন্দনতত্ত্ব' (১৯৮৬) যখন প্রকাশিত হলো, তখন সে বছরই মেলা থেকে বইটা কিনেছিলাম। লেখক হতে চাওয়া যে-কোনো তরুণেরই এই বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ থাকা স্বাভাবিক। তাঁর এই বইটি পড়ে খুব যে মুগ্ধ হয়েছি তা বলব না। এই বিষয়টিকে আরও বেশি গ্রাহ্য ও বোধগম্য করার জন্য যে-পরিসর দরকার, তা এই ক্ষুদ্রায়তনে সম্ভব ছিল না। মনজুরুল ইসলাম এই বিষয়ে খুবই যোগ্য লেখক ছিলেন, কিন্তু বাংলা অ্যাকাডেমির নির্ধারিত ওই ছোট্ট পরিসরে তাঁর সমস্ত যোগ্যতাকে পরিস্ফুট করার সুযোগ ছিল না। সুতরাং এই ক্ষেত্রে তাঁর করার কিছু ছিল না। তবে ১৯৯২ সালে তাঁর প্রবন্ধের বই `কতিপয় প্রবন্ধ’ বইটি পড়ে সত্যি মুগ্ধ হয়েছিলাম। নামটা খুবই সাদামাটা, এবং ‘কতিপয়’ শব্দটা যেহেতু দুষ্কৃতিকারী শব্দটির আগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে খুব, তাই ওই শিরোনাম দেখে নিজের মনেই এক কৌতুক...