‘আপনা মাঁসে হরিণা বৈরী’ খুবই পরিচিত একটি উক্তি। উক্তিটি এসেছে চর্যাপদের অন্যতম কবি ভুসুকুপা’র পদ থেকে। কারো সৌন্দর্য ও অর্জন যখন তার জন্য ক্ষতিকর কিছু হয়, তখন আমরা উক্তিটি ব্যবহার করি। যেমন, সুন্দরবনের হরিণের ক্ষেত্রে উক্তিটি বেশ যুক্তিযুক্ত। কারণ, হরিণের দৌহিক সৌন্দর্য ও সুস্বাদু মাংসই প্রাণীটির প্রধান শত্রু। বিষয়টি প্রাণীটির অসহায়ত্ব ও ভাগ্য বিড়ম্বনারও কারণ। ধন-সম্পদ, অর্থ-বিত্ত, যশ-খ্যাতি, রূপ-সৌন্দর্য, প্রভাব-প্রতিপত্তি, অর্জন-সাফল্য সব সময়ই ইতিবাচক হয় না বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা ভাগ্যবিড়ম্বনার কারণও হতে পারে। একথা অনস্বীকার্য যে, চুরি-ডাকাতি কিন্তু বিত্তহীনদের বাড়িতে হয় না বরং ধনাঢ্যরাই বারবার এ ফিৎনা ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সম্মুখীন হোন। রং অনুজ্জল নারীদের বিয়ে বিলম্বিত হলেও তারা কিন্তু সচরাচর ইভটিজিং, যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার হোন না বরং এসব ফিৎনায় অতিমাত্রায় ভিকটিম হোন উজ্জল, সুশ্রী ও সুন্দরী...