হৃদয়ের সমস্যাটাও অনেকটা মীমের মতো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে সে, অথচ পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না। দিনের বেশিরভাগ সময় তার কাটে ফেসবুকে। রাতে ঘুমাতে যায় অনেক দেরিতে, সকালে ঘুম ভাঙতেই চায় না। পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে গেছে তার। বন্ধুদের সঙ্গেও মিশতে ইচ্ছে করে না। মন খারাপের কোনো কারণ নেই, সবসময় তবু একটা মনভারি ভাব ঘিরে রাখে তাকে। কেবলই মনে হয়, ‘অন্য সবাই এগিয়ে গেছে, শুধু আমি পিছিয়ে!’ সে আসলে বিষন্নতায় ভুগছে। মীম কিংবা হৃদয়ের এই অনুভূতি এখনকার তরুণ সমাজের সাধারণ গল্প। প্রযুক্তি তাদের যেমন জ্ঞান ও যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, তেমনি অদৃশ্য এক চাপও তৈরি করেছে — সর্বদা সফল হতে হবে, অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে। আধুনিক জীবনের এই অস্থির প্রতিযোগিতা তরুণদের মানসিক ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। অন্যের মতো ‘সফল’...