ভুক্তভোগীদের অভিযোগ নিখোঁজের পরদিন থেকেই শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চোখ ও হাত শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়েছিল। অন্ধকার ছোট ঘরে শুধু ফ্যানের শব্দ শোনা যেত। খাবার হিসেবে পেতাম শুধু পাউরুটি আর কলা। টয়লেটে যেতে হলে হাতে রশি বেঁধে নিয়ে যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিগগির আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করব।’মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে ওই ঘর ছিল আয়নাঘর—যেখানে প্রায়ই অন্য বন্দিদের চিৎকার শোনা যেত। শেষ তিন দিন ছিলাম এক অজ্ঞাত স্থানে, পরে বুঝতে পেরেছি সেটি ছিল ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি কার্যালয়। কথোপকথন ও গাড়ির শব্দে জায়গাটা শনাক্ত করেছিলাম।’পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গুমের পরপরই ‘উদ্ধারের কথা বলে’ ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েক দফায় নগদ অর্থ আদায় করা হয়। শহীদুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া হোসেন...