চরমপন্থি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল মেহেরপুর জেলা। বিশেষ করে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গাংনী ছিল আতঙ্কের জনপদ। তবে এর প্রভাব ছিল পুরো জেলায়। চরমপন্থিদের অস্ত্রের ঝনঝনানি আর বোমাবাজিতে সব সময় মানুষ আতঙ্কে থাকত। অনেকেই নিজের বাড়িতে ঘুমাতে পারতেন না। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে এই জনপদে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামলে (২০০৯-২৪) ফের দিনদুপুরে খুন-খারাবির ঘটনা ফিরে আসে। ২০১৩-১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী যে আন্দোলন শুরু হয়, তা নজিরবিহীন। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন দমাতে চলে ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়ন। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা হয়। গুম আর হত্যার শিকার হন অনেকেই। ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা দুদলের নেতাকর্মীদের। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাদের। বাদ যায়নি পরিবারের অন্য সদস্যরাও। জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর তাদের বিরুদ্ধেই...