যখন ইকোসিস্টেম বিশেষজ্ঞ শেলবি রিসকিনের হাতে টরন্টোর নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে সংগৃহীত শতাব্দী প্রাচীন মাটির ছোট ডিস্ক-নমুনা আসে, তিনি আশা করেছিলেন, হয়তো সেখানে কিছু উদ্ভিদের চিহ্ন মিলবে—ক্যাটটেলস, বুলরাশেস, জললিলি ও আইরিস—যা একসময় ধ্বংসপ্রাপ্ত জলাভূমিতে জন্মাতো। কিন্তু নমুনা মাইক্রোস্কোপে পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি এবং এক স্নাতকোত্তর ছাত্র হতবাক হয়ে দেখেন, একটি বাদামী কীটের মতো প্রাণ অ্যালগির সবুজ গুচ্ছ খাচ্ছে। অথচ এটি ১৩০ বছরের বেশি সময় আগের একটি নমুনা। চারপাশে পানি চিপচিপে প্রাণী, কৃমি এবং জলজ সূক্ষ্ম প্রাণীরাও নাচছে ও ঘুরছে। রিসকিন বলেন, “আমরা প্রাচীন কিছু জীবন পুনর্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছি, যা দেখায় এই জলাভূমি নগরায়নের আগে কেমন ছিল।” তাদের কাজ এবং প্যালিওইকোলজিস্টের গবেষণা শীঘ্রই দুইটি পিয়ার-সমীক্ষিত গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হবে। এই আবিষ্কার শুধু একটি টাইম ক্যাপসুল নয় বরং মানব-সৃষ্ট ধ্বংসের মধ্যেও বাস্তুতন্ত্রের...