বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৭ হাজার ১৫০ একর বনভূমির মধ্যে বর্তমানে মাত্র ২ হাজার ১৫০ একর অবশিষ্ট আছে। অর্থাৎ, গত দুই দশকে প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমি বেদখলে চলে গেছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, যারা ‘উপকারভোগী’ নামে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বন রক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারাই আজ বন ধ্বংস করছেন বলে অভিযোগ উটেছে। প্রশাসনিক তদারকি এতটাই দুর্বল যে, বন কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ৭২টি মামলা ও শত শত নোটিসের পরও দখলদাররা অবিচল। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতার দায় কার? স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, নাকি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা প্রভাবশালী দখলদার চক্রের? বন নিধন মানে শুধু গাছ ধ্বংস নয়, এর মানে মাটির উর্বরতা হ্রাস, জলবায়ু ভারসাম্যের ভাঙন, বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি, এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি। আমরা মনে করি, এটি কেবল কয়েকজন উপকারভোগীর অপরাধ নয়।...