বই শুধু কিছু ছাপানো অক্ষর বা মলাটবদ্ধ কাগজ নয়, বই যেন এক অনন্ত জগৎ। কখনো তা ক্ষুধার্ত মনের খোরাক যোগায়, কখনো অসুস্থ আত্মাকে সারিয়ে তোলে, কখনো হাসির ফোয়ারা ছোটে তো কখনো চিন্তার সাগরে ডুবিয়ে দেয়। কবি গেন্ডোলিন ব্রুকস যেমনটা বলেছিলেন, “বই খাবার যোগায়, আরোগ্য করে, কলকল করে এবং আঘাত করে।” ফ্রাঞ্জ কাফকার কাছে বই ছিল আমাদের ভেতরের জমে থাকা বরফ ভাঙার কুঠার। গ্যালিলিও তো বইকে দেখতেন অতিমানবীয় শক্তির উৎস হিসেবে। আর হারমান হেস ১৯৩০ সালে ‘বইয়ের জাদু’ নিয়ে তার দূরদর্শী লেখায় বলেই ফেলেছেন, “বই লেখা ছাড়া কোনো ইতিহাস নেই, মানবতা বলে কিছু নেই।” প্রযুক্তির যতই পরিবর্তন আসুক না কেন, বইয়ের সেই জাদু আমাদের ওপর চিরকালই থাকবে। আমরা কেন পড়ি? এর উত্তর বহুবিধ। আমরা পড়ি কিছু মনে রাখার জন্য, আবার কিছু...