‘আমরা তো ভাঙনের জন্য প্রস্তুতি নিই। যেহেতু চরে থাকি সেহেতু ভাঙনের আগেভাগে বুঝতে পারি। একদিনে আর কতদূর ভাঙবে। কিন্তু এমনভাবে ভাঙছে যে, সব শ্যাষ করি দিছে’ দুধকুমারের চিরচেনা রূপের আকস্মিক পরিবর্তন নিয়ে এমন ভাষ্য তাইজুলের। শরতের শেষ ভাগে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজনের ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক ভাঙনে শুধু তাইজুল নন, বানিয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর হাফিজুর, গৃহবধূ মনছনা বেগমসহ অন্তত ৩০টি পরিবার রাতারাতি বসতভিটা হারিয়েছেন। অনেকে নিরুপায় হয়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। পরবর্তী ঠিকানা কী হবে, সন্তানদের লেখাপড়া আর নিজেদের জীবন-জীবিকার কথাও জানা নেই তাদের। মনছনা বেগম ভিটেমাটি থেকে ভেঙে নেওয়া ঘর ও আসবাবপত্র নৌকায় তুলে সাময়িক আশ্রয়ের খোঁজে বানিয়াপাড়া থেকে চর নারায়ণপুরে স্থানান্তরিত হয়েছেন। মুখে কাপড় গুঁজে কাঁদতে কাঁদতে মনছনা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জায়গা নাই। কোথায় যাবো? সব...