২০১৭ সালে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার করাইল বস্তিতে ঠাঁই হয় ১৮ বছর বয়সী রূপালীর। ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে সব হারিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর কিশোরী রূপালী আর তার বোন হালিমা প্রতিবেশীর সহযোগিতায় চাকরি নেন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে। বর্তমানে রূপালী টঙ্গীর একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত, সেখানে সেলাই অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে সব ভেসে গিয়েছিল আমাদের। ঘর, জমি, গরু সব হারিয়েছি আমরা। আব্বা সেসময় ক্ষেতে তরমুজ চাষ করেছিল, সবই গেল আমাদের। ঋণে জর্জরিত হয়ে অবশেষে ঢাকার জীবন বেছে নিলাম আমরা। সেলাই অপারেটর হিসেবে দিন শুরু করি সকাল ৯টা থেকে, মাঝে টিফিন খাওয়ারও সময় দেয় না। সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে রাত দশটা পর্যন্ত খাটতে হয়, কোনো ওভার টাইম নেই। তবে রাত দশটার পর নাইট শিফ্ট। ’ ‘এইখানে কাজ করার সময় বেশি বাথরুমে...