যখন আসার (মালিক) আমাকে বলল, সে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসছে, খুব খুশি হয়েছিলাম, যদিও পুরোপুরি অবাক হইনি। তার ভাগনি মেডিকেল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট করছিল আর ইংল্যান্ডে তখন চলছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। একজন মাঝারি পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যানেজারের জন্য এটি ছিল সম্পর্ক ও পেশাগত যোগাযোগ বাড়ানোর দারুণ সুযোগ। কিন্তু আসল কারণ ছিলাম আমি। তাকে কিছু বলার দরকার হয়নি; বুঝতে পেরেছিলাম, এবার তার অনুভূতি বুঝতে আমার ভুল হচ্ছে না। প্রথম ফোনালাপে তাকে বলেছিলাম অক্সফোর্ডে আমার কী অবস্থা; ক্লান্তি, আতঙ্ক, প্যানিক অ্যাটাক। তার পর থেকে সে প্রায় প্রতিদিন ফোন করত। প্রথমে মূলত আমার শারীরিক অবস্থার খবর নিত, নিশ্চিত করত, আমি আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেয়েছি কি না, আর দুই দিন ধরে শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার কথা শুনে হালকা বকাও দিত। ধীরে ধীরে আমাদের কথোপকথন...