বিশ্বায়ন, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি ও শ্রমবাজারের পরিবর্তনের এই যুগে শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান এখন আর কেবল সামাজিক দায় নয়, বরং টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিশ্ব শোভন কর্ম দিবস প্রতিবছর ৭ অক্টোবর পালিত হয়Ñ শ্রমিকের মর্যাদা, ন্যায্য মজুরি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার হিসেবে। সভ্যতার নির্মাতা ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এরাই। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলÑ “গণতন্ত্রই শোভন কাজের ব্যবস্থা করবে”, যা শ্রমিকের অধিকার ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার গভীর বার্তা বহন করে। ১৯১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিক অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষার প্রশ্নটি আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে আসে। আইএলও ১৯৯৯ সালে “ডিসেন্ট ওয়ার্ক এজেন্ডা” প্রবর্তনের মাধ্যমে এই ধারণাকে একটি বৈশ্বিক অঙ্গীকারে রূপ দেয়। এর লক্ষ্যÑ প্রত্যেক শ্রমিক যেন নিরাপদ, ন্যায্য, মর্যাদাপূর্ণ ও সুরক্ষিত পরিবেশে কাজ করতে পারে।...