‘গ্রামে একটি ছাগল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ছাগলের মালিক সেটাকে জবাই করেন। ওই ছাগলের মাংস কিনে নাড়াচাড়া করার সঙ্গে সঙ্গে আমার দুই হাতে জ্বালাপোড়া করতে থাকে। পরেরদিন হাতে ফোসকা পড়লে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার জানান, এটি অ্যানথ্রাক্স রোগ।’ এভাবেই নিজের অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্তের কথা জানান মেহেরপুরের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ইমারুল ইসলাম। তার মতো অনেকেই অসুস্থ পশুর মাংসের সংস্পর্শে এসে সংক্রামক এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মেহেরপুরে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৪ জন। অসুস্থ পশু জবাই ও তার মাংস থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রামক এই রোগ। ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকাকে দুষছেন স্থানীয়রা। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মেহেরপুর জেলায় চলতি বছরে ৪৬৪ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীর ৯৭ শতাংশই গাংনী উপজেলার...