উঁচু দেয়াল আর লোহার মোটা শিকের ফটক দেখেই যে কেউ সহজে বলে দিতে পারবেন, স্থাপনাটি একটি কারাগার। সামনে কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কয়েদিদের রাখার জন্য কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছিল। চার দশক আগে উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপকারাগারটি নির্মাণ করেছিল তৎকালীন সরকার। কিন্তু সেখানে এক দিনের জন্যও কোনো কয়েদিকে রাখা হয়নি। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বাওইজানি গ্রামে এমনই একটি উপকারাগার আছে। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে প্রকল্পটির কাজ থমকে গেলে কারাগারটি আর চালু হয়নি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থাপনাটি বর্তমানে ‘ভুতুড়ে বাড়িতে’ পরিণত হয়েছে। স্থাপনাটি দেখভাল করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। সংস্থাটির ভাষ্য, সারা দেশে এমন ২৩টি উপকারাগার আছে। সমাজসেবা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর পর্যন্ত আসামি আনা-নেওয়ার ঝামেলা কমিয়ে স্থানীয় বিচারিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে...