অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্ম। সঙ্গত কারণেই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণকারীরাই এই সরকারে স্থান পেয়েছেন, এটাই বিশ্বাস করতে হবে। আরও বিশ্বাস করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসন, দুর্নীতিগুলো দূর করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরিতে এই সরকার সর্বত্র আন্তরিক। বিশ্বাসের পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে। প্রথম কথা হচ্ছ, এই সরকার রাজনৈতিক চরিত্র ধারণ না করলেও সর্বদলীয় সরকার হিসেবে সহজেই দাবি করতে পারে। কারণ এই সরকার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছোটবড় সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। আরও স্পষ্ট করে বললে, এ সরকার অভ্যুত্থানেরই ফসল। সর্বদলীয় এই সরকার এ দেশের মানুষ দিয়েই গঠিত। সঙ্গত কারণেই তারা শতভাগ সফল নাও হতে পারে। এই অসফলতার বিষয়গুলো আলোচনাও হতে পারে। এবং এই সমালোচনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজে। সেক্ষেত্রে ব্যাপক সমালোচনাও অন্যায্য নয়।...