চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছেলের বিছানার পাশে বসে ছিলেন হাজেরা বেগম। বয়স্ক এই নারীর চোখমুখে ক্লান্তি আর বিরক্তি। তাঁর ছেলের শয্যার পাশেই এক আসামির শয্যা। আর সেই শয্যা ঘিরে ছিলেন চারজন কারারক্ষী ও পুলিশ। হাজেরা বেগমকে এ কারণে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। ওয়ার্ড থেকে নানা কাজে বাইরে যাওয়া কিংবা ছেলের পাশে ঘুমানোও তাঁর জন্য বিব্রতকর বলে জানালেন। হাজেরা বলেন, ‘দিনরাত ছেলের সঙ্গে আছি। ছেলের বেডের পাশেই পুলিশ। খুব অস্বস্তি লাগে।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩০ শয্যার প্রিজন সেল থাকলেও পাঁচ বছর ধরে সেটি খালি পড়ে আছে। পৃথক সেল না থাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কারাগার থেকে আসা অসুস্থ বন্দীরা। পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদেরও চিকিৎসা দেওয়া হয় সাধারণ রোগীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে পাহারায়...