মানবদেহের হাড়ের বিকল্প হিসেবে কাচ ব্যবহারের যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। হাড়ের মতো শক্তিশালী, থ্রি-ডি প্রিন্টিংযোগ্য এবং জীববৈজ্ঞানিকভাবে সক্রিয় এই নতুন ‘বায়ো-গ্লাস’ হাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনর্গঠনে বিপ্লব ঘটাতে পারে। হাড় শরীরের পেশি ও ওজন ধারণ করে, আর কাচ সাধারণত ভঙ্গুর হওয়ায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হতো। তবে চিনের গবেষকরা এমন এক জৈব-সক্রিয় কাচ তৈরি করেছেন, যা মানুষের হাড়ের সঙ্গে দৃঢ়তার দিক থেকে তুলনীয়। খরগোশের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই কাচ সাধারণ কাচের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে হাড়ের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। গবেষক দলের সদস্য জিয়ানরু শিয়াও, তাও চেন ও হুয়ানান ওয়াং বিপরীত চার্জযুক্ত সিলিকা কণার সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট আয়ন মিশিয়ে একটি প্রিন্টযোগ্য জেল তৈরি করেছেন। এই জেল ১,৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ব্যবহারযোগ্য এবং প্রচলিত পদ্ধতির...