কুটিরশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। এ শিল্পে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির প্রতিভাস ফুটে ওঠে, যার নির্মাতা গ্রামের সাধারণ মানুষ। নিজের ব্যবহার ও বিক্রির জন্য তারা এসব পণ্য উৎপাদন করে। কুটিরশিল্পকে অনেকে হস্তশিল্প, কারুশিল্প, শৌখিন শিল্পকর্ম, গ্রামীণ শিল্পও বলেন। বর্তমানে শহর এলাকায়ও কুটির শিল্পের প্রসার ঘটছে। এই শিল্প কেবল একটি উৎপাদনধর্মী পেশা নয়, এটি আমাদের জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার গভীর প্রতিচ্ছবি। মাটির হাঁড়ি থেকে জামদানি শাড়ি, নকশিকাঁথা থেকে বাঁশ-বেতের পণ্য প্রতিটি শিল্পকর্মে লুকিয়ে আছে বাংলার প্রকৃতি, নদী, লতাপাতা, পশুপাখি ও মানুষের গল্প। কুটিরশিল্প আসলে বাংলার মাটি ও মানুষের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের শিল্প আইন অনুসারে, যে শিল্পে ২০ জনের বেশি লোক নিয়োজিত হয় না, সেটিকেই ক্ষুদ্রায়তন বা কুটিরশিল্প বলা হয়। এ শিল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে যন্ত্র নয়, মানুষের হাতই প্রধান উৎপাদনশক্তি।...