বিনায়ক অবসরের দ্বারপ্রান্তে। নানা পরিকল্পনা চলে স্বামী-স্ত্রীতে। এরপর কোথায়? চারিদিকে মহীরুহতুল্য রেইনট্রি, মেহগনিবেষ্টিত একটা ভিটে বড় মেয়েকে দেখিয়ে বলেছিল, ‘দেখিস, অবসরের টাকায় এখানে আমাদের বসত গড়ে তুলবো।’ আনন্দিত তিমু একটু অবাক হয়ে বলল, ‘বর্ষায় তো চারপাশ তলিয়ে যাবে। বাড়ি থেকে বের হবে কী করে?’ বিনায়করা নিম্নাঞ্চলের লোক। বর্ষায় থৈ থৈ কাকচক্ষু জল। সে জলে কত যে মাছেরা জলকেলিতে মেতে থাকে! আছে হরেক রকম বাহারি নামের জাল। সেসব জাল নিয়ে ছেলে-যুবা-বুডো ধরতে গেলে জলেই দিন কাটায়। ফসলি জমিও টইটুম্বুর। কিছু ক্ষেতের ধান গাছেরা বাড়ন্ত জলের সাথে দিব্যি প্রতিযোগিতায় নামে। নাক উঁচিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে প্রাণান্ত হয়। উৎসব লাগে শাপলা বনে। মাঠকে মাঠ পেলব জোছনায় রাতভর খলবল হাসিতে বাতাসের গায়ে ঢলে পড়ে শাপলারা। এত যে জল বর্ষায়, বাড়ি উঠান চৌকাঠ ছুঁয়ে...