আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শ্বেতরক্ত কণিকা, টি-সেল, বি-সেল আমাদের রক্ষা করতে অবিরাম ছুটে বেড়ায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই পুলিশদের মধ্যে কেউ যদি নিজের শরীরকেই শত্রু মনে করে আক্রমণ করে বসে? এমনই এক রহস্যের সমাধান করেছেন তিন বিজ্ঞানী—শিমোন সাকাগুচি (জাপান), মেরি ই. ব্রাঙ্কো এবং ফ্রেড র্যামসডেল (যুক্তরাষ্ট্র)। তাদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্যই ২০২৫ সালের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার ঘোষণা করেছে সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বা রোগ প্রতিরোধ করতে গিয়ে দেহের নিজস্ব অঙ্গের ক্ষতি এড়ানোর ব্যবস্থা আবিষ্কারের মাধ্যমে এই তিন বিজ্ঞানী যুগান্তকারী কাজ করেছেন। ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে, জাপানের তরুণ ইমিউনোলজিস্ট শিমোন সাকাগুচি একটি প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন— “আমাদের ইমিউন সিস্টেম কেন নিজের শরীরের সাধারণ কোষকে আক্রমণ করে...