বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। বিদায় নিচ্ছে পারস্য সভ্যতার শেকড়ে গাঁথা ঐতিহ্যবাহী রাজধানী তেহরান। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের নতুন রাজধানী গড়ে তোলা হবে দক্ষিণাঞ্চলের পারস্য উপসাগর উপকূলে, যেখানে সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বেশি। ইরানের প্রশাসনিক কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেছেন “বিকল্প নয়, বরং বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ।” দীর্ঘদিন ধরে চলমান পানি সংকট, অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভূমিধসের আশঙ্কাই তেহরান ত্যাগের মূল কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজধানী তেহরানের মাত্র এক কোটি বাসিন্দা ভোগ করছে দেশের মোট পানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ। অথচ বৃষ্টিপাত কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি, শুকিয়ে যাচ্ছে বাঁধ ও কূপগুলো। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে ২০২৫ সালে রাজধানীর পানি সরবরাহে সরকারকে প্রতি ঘনমিটার পানির জন্য প্রায় চার ইউরো...