ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় ভোর সাড়ে পাঁচটা। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ শেরেবাংলা হলে প্রবেশ করে। প্রায় একই সঙ্গে আমিও অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে হলে ঢুকি। ফটকের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, এক শিক্ষার্থীর মরদেহ হলের ক্যানটিনে রাখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গেলাম সেই ক্যানটিনে। ট্রাউজার ও শার্ট পরা আবরার ফাহাদের লাশ দেখে আঁতকে উঠলাম। তাঁর নিথর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্নগুলো তখনো দৃশ্যমান। আশপাশের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানলাম, রাত আটটার (৬ অক্টোবর) দিকে আবরার ফাহাদসহ দ্বিতীয় বর্ষের সাত–আটজন শিক্ষার্থীকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত–আটজন নেতা। তাঁরা আবরার ফাহাদের মুঠোফোন চেক করে ছাত্রশিবির-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খোঁজেন। একপর্যায়ে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে তাঁকে পেটাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন...