মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা-হাটখোলা থেকে কোলদিয়াড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে নদীর অদম্য ভাঙন। কোথাও ধানক্ষেত, কোথাও সবজিবাগান—সবই এখন নদীর পেটে। একসময় পদ্মা ছিল জীবনের উৎস, এখন সে যেন মৃত্যুঘণ্টা বাজাচ্ছে মানুষের জীবিকায়। স্থানীয় কৃষক সাইদুর রহমান নদীর ধারে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমাদের ভুরকাপাড়ায় কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদিকে। যদি দ্রুত স্থায়ী বাঁধ না দেওয়া হয়, তবে এই গ্রামই হয়তো মানচিত্রে থাকবে না।”তার পাশে দাঁড়িয়ে সোহেল হোসেন বলেন, “প্রতিদিন দেখি কারো বাড়ি ভেঙে নদীতে পড়ছে, কারো জমি হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় এখানে আমরা ধান কেটেছি, এখন শুধু স্রোতের শব্দ শুনি।” ভাঙনের তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রায়টা-মহিষকুন্ডি নদী রক্ষা বাঁধ, ভারত থেকে আসা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সরাসরি ঝুঁকিতে রয়েছে।...