বর্তমান সময়ে দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, তা হয়ে উঠেছে বাঙালি হিন্দু সমাজের এক সামষ্টিক শিল্প ও সামাজিক চেতনার প্রতিফলন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা মণ্ডপে দেখা যাচ্ছে এক নতুন বিতর্ক—অসুরের মুখ এখন আর পৌরাণিকভাবে ‘অচেনা’ বা প্রতীকী নয়; বরং তা হয়ে উঠছে চেনা মানুষের মুখ। কোথাও অসুরের মুখে মুসলমান ধর্মীয় চিহ্ন, কোথাও আন্তর্জাতিক নেতার চেহারা, আবার কোথাও সমসাময়িক কোনও বাঙালি ব্যক্তিত্বের অবয়ব। প্রশ্ন উঠছে—এর কি কোনও পৌরাণিক যুক্তি আছে, নাকি এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রক্ষেপণ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরতে হবে পুরাণে, ইতিহাসে, দর্শনে এবং মানুষের মনস্তত্ত্বে। প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন—পুরাণে অসুরের মুখের কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। অসুরের মুখে দাড়িগোঁফ মানেই মুসলিম বিদ্বেষ নয়—পুরাণে অসুরের কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা চেহারা নেই। দাড়ি থাকা বা না-থাকায় কোনও হেরফের...