তাঁর পুরো নাম খন্দকার মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন আবুল হায়াত গোলাম মাহবুব। আর পিতা তাঁর প্রিয় কবির নামে রেখেছিলেন একটা ডাকনাম—রবি। জন্ম তাঁর ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, মুর্শিদাবাদে। বাবার চাকরি ছিল রেলওয়েতে। ১৯৪৭–এর পর তাঁর কর্মস্থল হলো চট্টগ্রাম। তিনি পরিবারসহ চলে গেলেন চট্টগ্রামে। তিন বছরের রবির সেই যাত্রার তিনটা জিনিস এখনো মনে আছে। মুনিষের কাঁধে চড়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। আবুল হায়াত বলেন, ‘একটা কালো ইঞ্জিন একটা হুইসেল দিল, চিৎকার করে উঠলাম মায়ের কোলে। আর তিন নম্বর হলো স্টিমারে নদী পার হওয়া—গোয়ালন্দ থেকে চাঁদপুর।’ রবি পথনামের একটা সুন্দর আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি। সেখানে দেশভাগের বেদনার কথা আছে। অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়া থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন, ‘তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো, তোমরা যেসব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো! তার বেলা?’ ছোটবেলার চট্টগ্রামের সৌন্দর্য...