ঢাকার উপকণ্ঠের একটি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ক্লাসে পাঠদান শুরু করেন। গরম, ধুলো কিংবা যানজট—সবকিছুর ভিড়েও তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান নিষ্ঠা নিয়ে। তবে মাস শেষে হাতে পান মাত্র ১৬ হাজার টাকা বেতন। এ অর্থে পরিবারের তিনজনের খরচ মেটাতে গিয়ে তাকে প্রায়ই ধার করতে হয়। হাবিবুর রহমান বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা আমাকে ‘স্যার’ বলে সম্মান দেয়, ক্লাসে মন দিয়ে শোনে—এই সম্মানই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। কিন্তু ক্লাস শেষে যখন বাজারে যাই, তখন সেই সম্মান দিয়ে তো কিছু কেনা যায় না। দোকানদার তো বলে না, ‘স্যার, আপনি শিক্ষক, তাই কম দামে চাল-ডাল নিন।’ মাসের শেষভাগে যখন বেতন শেষ হয়ে যায়, তখন সংসারের খরচ মেলাতে হিমশিম খেতে হয়। কখনো ধার করি, কখনো বন্ধুদের সাহায্য নিই। ছাত্রদের...