সোহাগী জাহান তনুর রক্তমাখা পোশাক, মোসারাত জাহান মুনিয়ার নিথর দেহ আর খাগড়াছড়ির গুঁইমারার এক মারমা কিশোরীর অসহায় আর্তনাদ—সবকিছুকে যেন একই সুতোয় গাঁথা যায়। আলাদা সময়, ভিন্ন ভিন্ন স্থান, কিন্তু মিল একটা আছে—ক্ষমতার কাছে ন্যায়বিচার পরাস্ত হওয়ার। তনুর মেডিকেল রিপোর্ট থেকে ধর্ষণের আলামত পেয়েও মুছে ফেলা হয়েছিল, মুনিয়ার পরীক্ষাই হয়নি আর খাগড়াছড়ির কিশোরীর ক্ষেত্রে ‘ধর্ষণ হয়নি’—এই পূর্বনির্ধারিত বয়ান চালিয়ে দেওয়া হল। যেন অপরাধ নয়, অপরাধীর ক্ষমতাই মূল সত্য। ধর্ষণ ও হত্যার বিচারহীনতার বড় নজির কুমিল্লার নাট্যকর্মী ও ইতিহাসের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু। যাকে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে মৃ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেনানিবাসের ভেতরে স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তনু। হত্যাকাণ্ডের দিন সন্ধ্যায় ৩০০ গজ দূরে স্টাফ কোয়ার্টারেরই আরেকটি ছাত্র পড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। তার মাথায় আঘাত, শরীরে নির্যাতনের...